শামসুল হক শারেক:

কক্সবাজারসহ দেশের অনেক জায়গায় অসংখ্য স্থাপনায় সরকারী জমি দখলে থাকার অভিযোগ রয়েছে। অবশ্যই এই জমি উদ্ধার করা দরকার। তবে কারো চেহারা আর পরিচয় দেখে যেনআইনের খড়গ থমকে না যায়-সেটিই দেশবাসী কামনা করে।

হোটেল সীগাল হউক বা হোটেল সাইমান রির্সোট হউক, সী ক্রাউন বা অন্য যে কোন হোটেল-স্থাপনা হউক তাদের দখলে যদি এক ইঞ্চি সরকারী জমিও অবৈধ দখলে থাকে তা অবশ্যই উদ্ধার করাহউক।

তবে আইনের প্রয়োগ খড়গ দিয়ে যেমন করা যায়, তেমনি কাগজে কলমেও করাযায়।সীগাল হোটেলটি কক্সবাজারে পাচঁতারাকা হোটেল হিসেবে পাইওনিয়ার।কক্সবাজারকে বিশ্বের দরবারেএকটি পর্যটন শহর হিসেবে প্রচার করতে সর্বপ্রথম হোটেল সীগালের ভূমিকা অনন্য। তাদের সীমানার ভেতরে সরকারী জমি থাকলে তা কাগজে কলমে উদ্ধার করে সরকারী রাজস্ব নিয়ে বৈধতাকি দেয়া যেত না? দেশী বিদেশী হাজারো পর্যটক বান্ধব কক্সবাজারের পর্যটনে পাইওনিয়ার একটি পাচঁ তারাকা হোটেল এভাবে ভাঙচুর করার কি খুব বেশী দরকার ছিল?

হ্যাঁ, কক্সবাজারবাসী দেখতে চায় আইনের প্রয়োগ যেন কোথাও বাধাগ্রস্থ না হয়।
সাগরপাড়ে, মেরিন ড্রাইভ সড়কে, শহরের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে অনেক স্থাপনায় সরকারী জমি অবৈধ দখলে রয়েছে বলেই অনুসন্ধানে জানা গেছে। ওসব অবৈধ দখল দ্রুত অবমূক্ত করাহউক।

আমার মনে পড়ছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় হোটেল সীগালের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মাসুম ইকবালকে অনেক ধকল পোহাতে হয়েছিল। একদিন তো তিনি কক্সবাজারের সিনিয়ার ৮/১০ জন সাংবাদিকদের সামেনে বলে ফেলেছিলেন ‘শত কোটি টাকার এই স্থাপনা ফেলে (উইল করে দিয়ে) তিনি আমেরিকা চলে যাবে। এখানে কিছু করতে চাইলে তারেক হতে হবে…….।’ দৈনিক ইনকিলাব ওই সংবাদটি মাসুম ইকবালের ছবিসহ ডবল কলামে প্রকাশ করেছিল।এই রিপোর্টট নিয়ে তখন হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। তখন ডিসি ছিলেন আমিনুল ইসলাম। ডিসি অফিস থেকে পিএম অফিস পর্যন্ত টানাপোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।

অন্য একদিন তৎকালীন পর্যন্তটনমন্ত্রী মীর নাছির ও তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের সামনেই হিলটপ সার্কিট হাউজে মাসুম ইকবালকে নাজেহাল করা হয়েছিল। সেদিন সাংবাদিকদের পক্ষে থেকে আমরা বলেছিলাম মাসুম ইকবাল কক্সবাজারে পর্যটনের বিকাশে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কি বড় অপরাধ করেছেন? সরকার এবং কক্সবাজারবাসীর কি কোন দায়িত্ব নেই এতবড় বিনিয়োগকে রক্ষা করার?

তাঁর পরে আজ কক্সবাজারে পাচঁ তারাকা মানের অনেক হোটেল গড়ে উঠেছে।বলতে হয় এক্ষেত্রে মাসুম ইকবালই পাইওনিয়ার।তিনি কক্সবাজারবাসীকে পর্যন্তটনের বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।এজন্য তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

জানাগেছে, ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হোটেল সীগাল স্থাপনের কাজ এগিয়ে যায়। অনেকের মতে পর্যটনের স্বার্থে শত কোটি টাকার বিনিয়োগের স্বার্থে কোন অনীয়ম থাকলে ওসময়ে ঠিক করে দিলেই তো হত।আবার অনেকের মতে হোটেল কর্তৃপক্ষেরও এবিষয়ে কোন অবহেলা আছে কি না? তাও এড়িয়ে যাওয়ার মত নয়।